আমাদের স্কুল

সেটিং

বহুনির্বাচনি প্রশ্নের দেখানোর অপশনঃ
শুধুমাত্র উত্তর 2 অপশন
3 অপশন 4 অপশন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের অপশন প্রদর্শনঃ
রো আকারে কলাম আকারে
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তরঃ
লুকান বোল্ড করুন
দেখান দেখান ও বোল্ড করুন
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ব্যাখ্যাঃ
দেখান লুকান নিচে লুকান
থিম নির্বাচন করুনঃ
ফন্ট সাইজঃ
15

 টোকিও
 ম্যানিলা
 ভারত
 নেপাল
ব্যাখ্যাঃ

সঠিক উত্তর হলো খঃ ম্যানিলা

আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (International Rice Research Institute - IRRI) ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরে অবস্থিত। এর সদর দপ্তর লস বানোসে অবস্থিত হলেও, ম্যানিলা এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

 ফ্রান্স
 জার্মানি
 নেদারল্যান্ড
 হাঙ্গেরি
ব্যাখ্যাঃ

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (Transparency International - TI) একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (Non-Governmental Organization - NGO)। এর প্রধান কাজ হলো বিশ্বব্যাপী দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করা। সংস্থাটি ১৯৯৩ সালে জার্মানির বার্লিনে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের মূল উদ্দেশ্য:

  • দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • দুর্নীতিবিরোধী নীতি ও কার্যক্রমের পক্ষে সমর্থন তৈরি করা।
  • বিভিন্ন দেশে দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য স্থানীয় উদ্যোগকে উৎসাহিত ও সমর্থন করা।
  • সরকার, ব্যবসা এবং সুশীল সমাজের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
  • দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বয় সাধন করা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম:

 BIMSTEC
 CICA
 IORA
 SAARC
ব্যাখ্যাঃ

BIMSTEC (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation)-এর সচিবালয় বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত।

অন্যান্য সংস্থাগুলোর সচিবালয় যেখানে অবস্থিত:

  • CICA (Conference on Interaction and Confidence Building Measures in Asia): এর সচিবালয় কাজাখস্তানের আস্তানায় অবস্থিত।
  • IORA (Indian Ocean Rim Association): এর সচিবালয় মরিশাসের ইবেনে অবস্থিত।
  • SAARC (South Asian Association for Regional Cooperation): এর সচিবালয় নেপালের কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।
 NATO
 NAM
 EU
 ASEAN
ব্যাখ্যাঃ

NAM (Non-Aligned Movement)-এর কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নেই।

NAM-এর প্রশাসনিক কার্যক্রম ঘূর্ণায়মান এবং কোনো স্থায়ী কাঠামো বাHierarchy অনুসরণ করে না। এর চেয়ারপারসন সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্য থেকে নির্বাচিত হন এবং চেয়ারের মেয়াদকালে সেই রাষ্ট্রই কার্যত নেতৃত্ব দেয়। NAM-এর একটি সমন্বয়কারী ব্যুরো (Coordinating Bureau) রয়েছে, যা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অবস্থিত, তবে এটি কোনো স্থায়ী সদর দপ্তর নয়।

অন্যান্য সংস্থাগুলোর স্থায়ী সদর দপ্তর রয়েছে:

  • NATO (North Atlantic Treaty Organization): ব্রাসেলস, বেলজিয়াম।
  • EU (European Union): ব্রাসেলস, বেলজিয়াম (কার্যত রাজধানী হিসেবে বিবেচিত)।
  • ASEAN (Association of Southeast Asian Nations): জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া।
 জেনেভা
 ভিয়েনা
 জেদ্দা
 বাগদাদ
ব্যাখ্যাঃ

১৯৬০ সালে ওপেক (OPEC - Organization of the Petroleum Exporting Countries) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় এর সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে জেনেভা, সুইজারল্যান্ডে স্থাপিত হয়েছিল।

তবে, ১৯৬৬ সালে এর সদর দপ্তর জেনেভা থেকে ভিয়েনা, অস্ট্রিয়াতে স্থানান্তরিত হয়, এবং তখন থেকেই ভিয়েনা ওপেকের স্থায়ী সদর দপ্তর।

 ঢাকা
 নয়াদিলী
 কলম্বো
 কাঠমান্ডু
ব্যাখ্যাঃ

সার্কের (SAARC - South Asian Association for Regional Cooperation) সদর দপ্তর নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অবস্থিত।

যদিও সার্ক ১৯৮৫ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এর স্থায়ী সচিবালয় বা সদর দপ্তর ১৯৮৭ সালের ১৭ জানুয়ারি নেপালের কাঠমান্ডুতে স্থাপন করা হয়।

 ওয়াশিংটন ডিসি
 নিউইয়র্ক
 জেনেভা
 রোম
ব্যাখ্যাঃ

IMF (International Monetary Fund) এর সদর দপ্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, ডি.সি. শহরে অবস্থিত।

 ভিয়েনা
 জেনেভা
 প্যারিস
 লন্ডন
ব্যাখ্যাঃ

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস হলো একটি বিশ্বব্যাপী মানবতাবাদী আন্দোলন, যা যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা এবং তাদের মানবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে কাজ করে। এটি কয়েকটি স্বতন্ত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত, তবে তারা একই মৌলিক নীতি ও উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হয়।

প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠাতা:

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস আন্দোলনের মূল ধারণা আসে ১৮৫৯ সালে সলফেরিনোর যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে। সুইস ব্যবসায়ী ও মানবতাবাদী অঁরি দ্যুনঁ (Henry Dunant) যুদ্ধাহত সৈন্যদের দুর্দশা দেখে গভীরভাবে প্রভাবিত হন এবং তাদের সাহায্য করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন।

  • প্রতিষ্ঠা: ১৮৬৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জেনেভায় "আন্তর্জাতিক কমিটি ফর রিলিফ টু দ্য ওয়ান্ডেড" (International Committee for Relief to the Wounded) নামে একটি কমিটি গঠিত হয়, যা পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (ICRC) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
  • প্রতিষ্ঠাতা: অঁরি দ্যুনঁ এবং গ্যুস্তাভ মোয়ানিয়ে সহ আরও চারজন মিলে এই কমিটি গঠন করেন।

সদর দপ্তর ও মূলনীতি:

  • সদর দপ্তর: আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (ICRC) সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত।
  • মূলনীতি: রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলন সাতটি মৌলিক নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়: ১. মানবতা (Humanity): মানুষের দুঃখ-দুর্দশা প্রতিরোধ ও উপশম করা। ২. পক্ষপাতহীনতা (Impartiality): জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক মতবাদ নির্বিশেষে কেবল প্রয়োজনের ভিত্তিতে সাহায্য করা। ৩. নিরপেক্ষতা (Neutrality): সকলের আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক, জাতিগত, ধর্মীয় বা আদর্শগত বিতর্কে জড়িয়ে না পড়া। ৪. স্বাধীনতা (Independence): যদিও এটি সরকারের সহায়ক হিসেবে কাজ করে, তবে এর কার্যক্রমের মৌলিক লক্ষ্য বজায় রাখার জন্য স্বাধীন থাকা। ৫. স্বেচ্ছাসেবা (Voluntary Service): কোনো প্রকার ব্যক্তিগত বা দলগত লাভের আশা ছাড়া স্বেচ্ছায় কাজ করা। ৬. একতা (Unity): প্রতিটি দেশে কেবল একটিই রেড ক্রস বা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থাকবে। ৭. সর্বজনীনতা (Universality): বিশ্বব্যাপী একটি সর্বজনীন আন্দোলন হিসেবে সমমর্যাদা ও দায়িত্ব পালন করা।

প্রধান কাজ:

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের মূল কাজগুলো হলো:

  • যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সুরক্ষা ও সহায়তা প্রদান।
  • প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারী এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা।
  • নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান ও পরিবারের পুনর্মিলনে সহায়তা করা।
  • আন্তর্জাতিক মানবিক আইন (International Humanitarian Law - IHL) প্রচার ও প্রয়োগে সহায়তা করা।
  • দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রমে সহায়তা করা।

অঁরি দ্যুনঁ-এর জন্মদিন, ৮ মে, বিশ্বজুড়ে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস হিসেবে পালিত হয়।

৯. ‘WIPO’ এর সদর দপ্তর?

[ বিসিএস ৩৫তম ]

 ব্রাসেলস
 লন্ডন
 জেনেভা
 প্যারিস
ব্যাখ্যাঃ

WIPO (ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা)-এর সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত।

 Hawana Conference
 Geneva Conference
 Rome Conference
 Brettonwood Conference
ব্যাখ্যাঃ

International Monetary Fund (IMF) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গঠিত হয়েছিল ঘঃ Brettonwood Conference (ব্রেটন উডস সম্মেলন)-এর ফলস্বরূপ।

১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের ব্রেটন উডস শহরে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং ভবিষ্যতে ১৯৩০-এর দশকের মতো অর্থনৈতিক সংকট এড়াতে একটি নতুন বৈশ্বিক আর্থিক কাঠামো তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সম্মেলনেই IMF এবং বিশ্বব্যাংক (International Bank for Reconstruction and Development - IBRD, যা পরবর্তীতে World Bank Group-এর অংশ হয়) প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 লন্ডন
 নিউইয়র্ক
 প্যারিস
 ভিয়েনা
ব্যাখ্যাঃ

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা (NGO) যা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করে। এটি বিশ্বজুড়ে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় নিবেদিত।


প্রতিষ্ঠা ও সদর দপ্তর

১৯৬১ সালের ২৮ মে ব্রিটিশ আইনজীবী পিটার বেনেনসন এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। 'অন্ধকারকে অভিশাপ দেওয়ার চেয়ে একটি মোমবাতি জ্বালানো উত্তম' - এই নীতিবাক্য নিয়ে এটি কাজ করে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদর দপ্তর লন্ডনে অবস্থিত।


লক্ষ্য ও কার্যক্রম

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বজুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা নিশ্চিত করা। তারা যে সকল বিষয় নিয়ে কাজ করে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • বিচারের অধিকার: বিনাবিচারে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি, রাজবন্দিদের স্বচ্ছ ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
  • নির্যাতনের অবসান: সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক উৎপীড়ন এবং নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করা।
  • মৃত্যুদণ্ড বিলোপ: বিশ্বের সব দেশ থেকে মৃত্যুদণ্ড প্রথা তুলে দেওয়ার জন্য প্রচারণা চালানো।
  • অভিবাসী ও শরণার্থীদের অধিকার: তাদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
  • নারী, শিশু, সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকার: তাদের প্রতি সকল বৈষম্য ও নির্যাতন বন্ধে কাজ করা।
  • মতপ্রকাশের স্বাধীনতা: মানুষের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সুরক্ষিত রাখা।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো গবেষণা করে, তথ্য সংগ্রহ করে এবং জনসমক্ষে তুলে ধরে। তারা বিভিন্ন প্রচার অভিযান, চিঠি লেখা, পিটিশন এবং আইনগত পরামর্শের মাধ্যমে সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে যাতে মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকে।

স্বীকৃতি

মানবতার প্রতি অসাধারণ অবদানের জন্য অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে ১৯৭৭ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার এবং ১৯৭৮ সালে জাতিসংঘ মানবাধিকার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

 প্যারিস
 লন্ডন
 নিউইয়র্ক
 জেনেভা
ব্যাখ্যাঃ

রেড ক্রস (Red Cross) হলো একটি আন্তর্জাতিক মানবিক আন্দোলন যা বিশ্বের প্রায় ৯৭ মিলিয়ন স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মীর মাধ্যমে মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য রক্ষা, সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা নিশ্চিত করা এবং দুর্ভোগ প্রতিরোধ ও লাঘব করার জন্য কাজ করে। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (ICRC), ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেড ক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (IFRC) এবং বিভিন্ন দেশের জাতীয় রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিগুলো কাজ করে।


ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠাতা

১৮৫৯ সালে ইতালির সলফেরিনো যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সুইস ব্যবসায়ী জ্যাঁ হেনরি ডুনান্ট আহত সৈন্যদের সেবায় একটি নিরপেক্ষ সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করেন। তার এই উদ্যোগের ফলস্বরূপ, ১৮৬৩ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর রিলিফ টু দ্য ওয়ান্ডেড ইন ওয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা পরবর্তীতে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (ICRC) হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।


মূলনীতি

রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট আন্দোলনের ৭টি মূলনীতি হলো:

  • মানবতা: মানুষের কষ্ট লাঘব করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।
  • নিরপেক্ষতা: এটি কোনো পক্ষ বা রাজনীতিতে সমর্থন করে না।
  • অপক্ষপাতিত্ব: জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সমানভাবে সহায়তা করে।
  • স্বাধীনতা: এটি একটি স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা।
  • স্বেচ্ছাসেবা: এটি কোনো প্রকার লাভের উদ্দেশ্যে কাজ করে না।
  • ঐক্য: প্রতিটি দেশে শুধু একটিই রেড ক্রস বা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি থাকবে।
  • সার্বজনীনতা: এটি একটি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন।
 আদ্দিস আবাবা
 নাইরোবি
 ডাকার
 কায়রো
ব্যাখ্যাঃ

ECA (Economic Commission for Africa)- এর সদর দপ্তর ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায়। এটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এ সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আফ্রিকার দেশসমূহের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। আফ্রিকায় ৫৪টি দেশ বর্তমানে সদস্য সংখ্যা।

 রোম
 জেনেভা
 ব্যাংকক
 প্যারিস
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর কুইবেকে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ইতালির রোমে।

 রিয়াদ
 কায়রো
 কুয়েত
 জেদ্দা
ব্যাখ্যাঃ

ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (IDB) এর সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দায়। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৩ সালে এবং কার্যক্রম শুরু হয় ২০ অক্টোবর, ১৯৭৫।

 তেহরান
 জেদ্দা
 কায়রো
 রিয়াদ
ব্যাখ্যাঃ

ইসলামী সম্মেলন সংস্থা (OIC) এর সদর দপ্তর → সৌদি আরবের জেদ্দায়। উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা (GCC) এর সদর দপ্তর → রিয়াদে, ECO এর সদর দপ্তর → ইরানের তেহরানে বর্তমানে নাম ইসলামী সহযোগী সংস্থা। আরব লীগের সদর দপ্তর → মিশরের কায়রোতে।

 মার্লবোরো হাউজ
 হোয়াইট হাউজ
 বাকিংহাম প্রাসাদ
 দি চেকার্স
ব্যাখ্যাঃ

মার্লবোরো হাউজ লন্ডনে অবস্থিত। মার্লবোরো হাউজের অপর নাম পলমল। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ ওয়াশিংটনে অবস্থিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাসবভন এবং বাকিংহাম প্রাসাদ লন্ডনে অবস্থিত ইংল্যান্ডের রানীর বাসভবন।

 জেনেভায়
 ওয়াশিংটনে
 ভিয়েনায়
 ব্রাসেলসে
ব্যাখ্যাঃ

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় WTO, Red Cross, ILO, ITU, WIPO, UNCTAD, WHO, UNHCR প্রভৃতি সংস্থা ও সংগঠনের সদর দপ্তর, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে IMF, IBRD, IDA, MIGA, IFC ও ICSID এর সদর দপ্তর, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় OPEC, IAEA ও UNIDO এর সদর দপ্তর এবং ফ্রান্সের প্যারিসে UNESCO সদর দপ্তর। Interpol এর সদর দপ্তর লিঁওতে।

 জেনেভা
 নিউইয়র্ক
 হেগ
 প্যারিস
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘের সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের ম্যানহাটনে অবস্থিত।

শহর সদর দপ্তর
নিউইয়র্ক UN, UNDP, UNFPA, UNICEF, UNWOMEN
জেনেভা ILO, ITU, WHO, WMO, WIPO, WTO, UNHCR, UNCTAD, রেডক্রস
হেগ ICJ, ICC
প্যারিস UNESCO, OECD

 জেনেভা
 প্যারিস
 লন্ডন
 রোম
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৫ সালের ১৬ অক্টোবর কুইবেকে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ইতালির রোমে এবং সদস্য রাষ্ট্র ১৯৪টি।

 ব্যাংকক
 সিঙ্গাপুর
 টোকিও
 ম্যানিলা
ব্যাখ্যাঃ

ADB প্রতিষ্ঠিত হয় ২২ আগস্ট, ১৯৬৬ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে ১৯৬৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর। এর প্রধান কার্যালয় ফিলিপাইন এর ম্যানিলায়। বর্তমানে ADB-এর সদস্য সংখ্যা ৬৭। সর্বশেষ সদস্য জর্জিয়া। সদস্যপদ লাভ করে ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭।

 তিউনেসিয়া
 কায়রো
 রাবাত
 জেদ্দা
ব্যাখ্যাঃ

১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ আরব লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠাকালীন সদর দপ্তর স্থাপিত হয় মিশরের রাজধানী কায়রোতে। মিশর ও ইসরাইলের মধ্যকার ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সাক্ষরের পর ১৯৭৯ সালের ২৬ মার্চ মিশরকে আরব লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং সদর দপ্তর তিউনিসিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। ১৯৮৯ সালের ২৩ মে মিশর পুনরায় আরব লীগে যোগ দেয় এবং সদর দপ্তর পুনরায় কায়রোতে স্থানান্তরিত হয়। আরব লীগের বর্তমান সদস্য রাষ্ট্র ২২।

 লন্ডন
 ব্রাসেলস
 নিউইয়র্ক
 টোকিও
ব্যাখ্যাঃ

জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয় জাপানের রাজধানী টোকিও-এর শিবুইয়ায় অবস্থিত। ১৯৭৩ সালে সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে এ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।

 জেনেভা
 রোম
 প্যারিস
 ভ্যালেটা
ব্যাখ্যাঃ

মাল্টা সরকার জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় International Institute on Ageing (INIA)- কে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে ৯ অক্টোবর, ১৯৮৭ জাতিসংঘের সাথে একটা আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে। ১৫ এপ্রিল, ১৯৮৮ জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব জ্যাভিয়ের পেরেজ দ্য কুয়েলার মাল্টার রাজধানী ভ্যালেটায় প্রতিষ্ঠিত এ Institude উদ্বোধন করেন। এটি জাতিসংঘভুক্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

 ভিয়েনা
 বন
 জেনেভা
 রোত
ব্যাখ্যাঃ

আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় ২৯ জুলাই, ১৯৫৭। এটি জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত হয় ১৪ নভেম্বর ১৯৫৭। এর সদর দপ্তর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।

 রিয়াদ
 জেদ্দা
 দামেস্ক
 মক্কা
ব্যাখ্যাঃ

২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯ মরক্কোর রাজধানী রাবাতে OIC গঠিত হয় এবং সদর দপ্তর সৌদি আরবের জেদ্দাতে প্রতিষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ইসলামী সম্মেলন সংস্থার বর্তমান নাম ইসলামী সহযোগীতা সংস্থা।

 ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে
 হোয়াইট হল
 মার্বেল চার্চ
 বুশ হাউজ
ব্যাখ্যাঃ

ব্রিটেনের প্রশাসনিক সদর দপ্তর হোয়াইট হল লন্ডনে অবস্থিত। এটি ব্রিটেনের রানীর সাবেক সরকারি বাসভবন। ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবে বিখ্যাত ব্রিটিশ নাগরিকদের সমাধিস্থল। বুশ হাউজ বিবিসি’র সাবেক প্রধান কার্যালয়।

 ওয়াশিংটন
 মস্কো
 লন্ডন
 নিউইয়র্ক
ব্যাখ্যাঃ

IMF (International Monetary Fund)-এর সদর দপ্তর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে। ১-২২ জুলাই, ১৯৪৪ ব্রেটন উডসের জাতিসংঘ মনিটারি এন্ড ফিনান্সিয়াল কনফারেন্সে IMF গঠিত হয়। কার্যক্রম শুরু করে ১৯৪৭ সালের ১ মার্চ থেকে।